রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

বিশ্বজুড়ে লকডাউন বাঁচিয়েছে লক্ষ মানুষের প্রাণ

ভয়েস আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়া রোধে জারি করা ‘লকডাউন’ বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে। এখন বিধিনিষেধ শিথিল করাটা বিরাট ঝুঁকির কাজ হবে বলে আন্তর্জাতিক দুটি গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
এ নিয়ে একটি গবেষণা হয়েছে লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজে। গবেষণায় যৌথভাবে নেতৃত্ব দেওয়া সামির ভাট সোমবার সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে বলেন, “সব হস্তক্ষেপ ও সব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা বাদ দেওয়া হলে সেকেন্ড ওয়েভের আশঙ্কা খুব বাস্তব।”

লকডাউনের অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন বেশিরভাগ ইউরোপীয় দেশই নতুন কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা কমায় বিধিনিষেধ শিথিল করা শুরু করেছে।

ইমপেরিয়াল কলেজের এই গবেষণায় ১১টি ইউরোপীয় দেশের লকডাউন এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পদক্ষেপগুলোর প্রভাব বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এগুলো “যথেষ্ট পরিমাণে প্রভাব ফেলেছিল”, যা মে মাসের শুরুর দিকে সংক্রমণ বাড়ার হার কমাতে সহায়তা করে।

ভাট জানান, ঝুঁকি শেষ হয়ে গেছে আর দেশগুলোর বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এসে পড়েছে – এমন ধারণা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করা যেতে পারে। “আমরা কেবল এই মহামারীর শুরুতে আছি।”

ইমপেরিয়ালের গবেষণা দলটির হিসেবে অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ব্রিটেন, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ডের ১ কোটি ২০ লাখ থেকে ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে যা দেশগুলোর মোট জনসংখ্যার ৪ শতাংশ।

গবেষণার মডেল অনুয়ায়ী লকডাউন থাকায় প্রায় ৩১ লাখ মৃত্যু এড়ানো গেছে।

ন্যাচার সাময়িকীতে প্রকাশিত অন্য গবেষণাটিতে বলা হয়েছে, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি, ইরান, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রে লকডাউন জারির ফলে ৫৩ কোটি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া থেকে বেঁচেছে।

গবেষকরা বলছেন, লকডাউন ব্যবস্থা জারির আগে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের সংক্রমণ ইরানে দিনে ৬৮ শতাংশ হারে এবং অন্য পাঁচটি দেশে ৩৮ শতাংশ হারে বেড়েছে।

ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাটি যৌথভাবে নেতৃত্ব দেওয়া সলোমন সিয়াং বলেন, “ওই নীতিমালাগুলো ছাড়া আমরা হয়তো পুরোপুরি ভিন্ন একটা এপ্রিল ও মে মাস দেখতাম।” সুত্র:বিডি নিউজ।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION